সমাজসেবার জন্য ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস এর তিন সদস্যের ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন
স্রষ্টা ও দেশের প্রতি কর্তব্য পালন আর সর্বদা অপরের সাহায্য করায় ব্রত স্কাউটদের যেন নেই কোন ক্লান্তি, নেই কোন অনাগ্রহ। অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোন দূর্যোগের সময় ত্রান সংগ্রহ করে তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ, শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে তা অসহায়সমা শীতার্থদের মাঝে বন্টণ, বিশেষ বিশেষ দিবসে ও ধর্মীয় উৎসবে অসহায় দুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীনদের মাঝে খাবার বিতরণ সহ আত্ম-মানবতার সেবায় অনন্য অবদান রাখায় অর্থাৎ স্থানীয় ও জাতীয় দূর্যোগে এবং জাতীয় সেবা সহ আত্মমানবতার সেবায় আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করার স্বীকৃতীর (সম্মাননা) স্বরূপ বাংলাদেশ স্কাউটস প্রতিবারই প্রদান করে থাকে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’।
গত ৫ই ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির ৪৯ তম সাধারন সভা আয়োজিত হয়। যার নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এর জন্য মনোনীতদের নামের তালিকা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট জনাব আবদুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভার শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভারের প্রথিতযশা রোভার দল ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস এর দুইজন রোভার এবং একজন গার্ল-ইন-রোভারিং সদস্য এবছর এই সম্মাননা অর্জন করেন। নিরলস ও নিস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাওয়া ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস পরিবারের সদস্যরা হচ্ছেন গার্ল-ইন-রোভারিং কাজী তাহসিনা ফারাহ, রোভার শাহাদাত হোসেন এবং রোভার কিশোর কুমার।

ঢাকার সদূরে অবস্থিত লালমনিরহাট জেলার মোঘলহাট উপজেলার “স্কাউটের চর” নামে পরিচিত সুবিধা বঞ্চিত তিনটি চরের মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস কাজ করে আসছে সেই ২০০৯ সাল থেকে। যার ধারাবাহিকতায় এই তিনজন প্রাণবন্ত সদস্য সক্রিয় ভাবে অংশ নেন “স্কাউটের চরে” শীত বস্ত্র বিতরণ, চরের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্প ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক কার্যক্রম, ডিজিটাল ক্লাসরুমের মাধ্যমে চরে নিয়মিত পাঠদান করা সহ আরও অন্যান্য কার্যক্রমে।
ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস সদস্যের অসামান্য এই অর্জনে অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারীদের বিভিন্ন মাধ্যেমে অভিনন্দন জানিয়েছে ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস এর সম্মানিত গ্রুপ কমিটি সদস্যবৃন্দ, রোভার ক্রু কাউন্সিল, বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভার সহ আরও অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষী। এই আনন্দে ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস পরিবারের প্রতিটি সদস্যই উদ্ভাসিত।
– এস এম সাকিব খান, ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস গ্রুপ।
শেষ মূহুর্তের পিএস প্রস্তুতি
এসএসসি মানে কি?”
- এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না স্যার।
কি বলছো! জেএসসি মানে জানো? তুমি তো এটি পাশ করেই এসেছো। কোন ক্লাস শেষে ছিল বলতে পারবে?
- জী স্যার। জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট। ক্লাস এইট শেষ করার পর পরীক্ষাটি হয়েছিল।
তাহলে এসএসসি মানে কি বলতে পারবে এখন?
- জী স্যার। সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট।
অংশটি ছিল, ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী সৈয়দা সামিয়া রহমান টুশির “পিএস ইভ্যালুয়েশন ক্যাম্প” এর অভিজ্ঞতা থেকে। ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী টুশি সফলতার সাথে পিএস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
স্কাউট বন্ধুদের জন্য ভাবলাম পিএস ইভ্যালুয়েশন ক্যাম্পের ভাইভা সম্পর্কে কিছু কথা লিখি। যদি কাজে এসে যায়, অবশ্যই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবো।
আপনাদের অনেকের জন্যই ভাইভাগুলো হবে প্রথমবারের মতন জাতীয় পর্যায়ের ভাইভা। আপনারা যারা ইভ্যালুয়েশন ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন, তারা অবশ্যই আরও কিছু ধাপ পার হয়ে এসেছেন এবং স্কাউটিং বিষয়ক ভাইভা সম্পর্কে ধারণা এবং অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। প্রশ্নের ধরণ বা প্রস্তুতি অনেকাংশেই একইরকম মনে হলেও আপনার কাছ থেকে জাতীয় পর্যায়ের ভাইভা বোর্ডের প্রত্যাশা আরও বেশি হবে এটিই স্বাভাবিক। মেট্রোপলিটান বা অঞ্চল পর্যায়ের ভাইভাতে যা হয়েছে তা হলো, সেটি ছিল পরীক্ষার পাশাপাশি আপনাদের একরকম শিক্ষার জায়গা। আর জাতীয় পর্যায়ের ভাইভাটি হবে আপনাদের জন্য পরীক্ষার আরও গভীর একটি ধাপ; যেখানে অবশ্যই আপনি আপনার আগের ধাপ গুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অংশ নিবেন। আমি আমার লেখার মাধ্যমে চেষ্টা করবো, আপনাদের ভাইভা সম্পর্কে আরেকটু পরিষ্কার ধারণা দেয়ার।
পিএস ক্যাম্পে প্রবেশের সাথে সাথেই আপনাকে পর্যবেক্ষণ করা হবে, এটি সবসময় মাথায় রাখতে হবে। কখনই এমন কাজ করা উচিত হবে না যা আপনার সম্পর্কে যে কারো কাছেই নেতিবাচক ধারণা তুলে ধরবে। ভাইভাতে যাওয়ার সময়ও এর ব্যতিক্রম যেন না হয়।
প্রথমত, যে কোন ভাইভাতেই প্রথম পরীক্ষকের চোখে যেটি পরে তা হচ্ছে প্রার্থীর পোশাক এবং অভিগমন। ইংরেজিতে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে, “First Impression Is The Last Impression.“; কাজেই পরীক্ষক আপনাকে প্রথমবার দেখেই আপনার সম্পর্কে যা ধারণা পাবেন তার গুরুত্ব আসলেই অনেক। পিএস ভাইভাতে কখনই পরিপাটি স্কাউট পোশাক ব্যতীত যাওয়া উচিত হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে অবশ্য ভাইভাবোর্ড সময় বা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পোশাকের ক্ষেত্রে অন্যকোন নির্দেশনা দিয়ে থাকলে সেই মোতাবেকই যেতে হবে। অবশ্যই ভাইভার জন্য স্কাউট ইউনিফর্ম পরিপাটি এবং আইরন করে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, স্কার্ফটিও যেন পরিষ্কার থাকে। চুল-দাড়ি, নখ কখনই এমন রাখা উচিত নয় যা দৃষ্টিকটু দেখায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জুতা। অবশ্যই কালো জুতা পরতে হবে এবং চেষ্টা করবে ভাইভাতে প্রবেশের আগে জুতা প্রয়োজনে পালিশ/ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে নিতে। মনে রাখবেন, “Shined shoes are sign of gentleman”. ইউনিফর্মের সাথে বেমানান কোন জুতা নিয়ে কখনই ভাইভাতে যাওয়া উচিত হবে না।
আমরা জানি স্কাউট সদা প্রস্তুত। যদি আপনাকে হঠাৎ করে কিছু লিখতে, আঁকতে বা দড়ির কোন কাজ করতে বলা হয়? তখন লেখালেখির উপকরণ বা দড়ি কোথায় পাবেন? আপনি ভাইভা বোর্ডে এই সুবিধাগুলো ঐ মূহুর্তে নাও পেতে পারেন। তাই ভাইভার প্রস্তুতিতে মাইপ্রোগ্রেস বুক, সার্টিফিকেট, পারদর্শিতা ব্যাজের লগবই, আদর্শ মাপের একটি স্কাউট দড়ি, কলম নিয়ে যাওয়া উচিত।
আপনাকে একটি বোর্ডে ভাইভার জন্য যেই সময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হবে, তার মধ্যে উপস্থিত থাকতে না পারা অবশ্যই আপনার নেতিবাচক দিক হিসাবে গণ্য হবে। একজন স্কাউট হিসাবে সময়ানুবর্তি গুণাগুণ আপনার মধ্যে প্রকাশ পাবে এটিই পরীক্ষকদের প্রত্যাশা থাকবে। তাই, অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার ভাইভা ঠিক কোন সময়ে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্যে ক্যাম্পে উপস্থিত রোভার ভাইয়া-আপুদের সহযোগিতা নিতে কোন দ্বিধাবোধ করার প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত সময়ের আগেই আপনি যদি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন, তাহলে আপনার প্রস্তুতিই যে আপনার মধ্যে আরও আত্মবিশ্বাস জন্মাতে সাহায্য করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। মনে রাখবেন, আপনার প্রস্তুতির একটি বড় অংশ নির্ভর করবে আপনার আত্মবিশ্বাসের উপর।
যে কোন ভাইভা বা ইন্টারভিউতে শুভেচ্ছা বিনিময় একটি খুবই সাধারণ কিন্তু গুরত্বপূর্ণ বিষয়। অনুমতি নিয়ে ভাইভা রুমে প্রবেশের সময় হাসোজ্জ্বল মুখে সালাম, শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিবেন। যদি Good Morning বা শুভ সকাল, Good Afternoon বা শুভ অপরাহ্ণ বলতে চান, অবশ্যই এই ক্ষেত্রে আপনি ঠিক কোন সময়ে ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হচ্ছেন তা বিবেচনায় রাখবেন। শুভেচ্ছা বিনিময়টি যদি সময় উপযোগী না হয় তাহলে ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে যায় না?
মানুষ কখনই ভুলের উর্দ্ধে নয়। ভাইভা বোর্ডের জিজ্ঞাস করা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই যে আপনার জানা থাকতেই হবে বা আপনি উত্তর দিতে পারবেন এমনটি নয়। যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে বা মনে না আসে, নম্র ভাবে বলতে হবে “স্যার, এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না’। ভাইভার কোন পর্যায়েই পরীক্ষকের সাথে তর্ক বা বাকবিতণ্ডায় জড়ানো উচিত নয়। কেননা স্কাউট চিন্তায়, কথায় এবং কাজে নির্মল। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই ভেবে দেয়ার জন্য আপনি সময় পাবে। কাজেই সেই সময়কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখবেন, আপনি একজন স্কাউট এবং স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী। এর মানে আপনি সদা সৎ ও সত্যবাদী হবেন। ভাইভাতে কখনই অসত্য তথ্যের আশ্রয় নেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি বরং আপনার সম্পর্কে আরও খারাপ ধারণার জন্ম দিবে। অসত্য তথ্যের আশ্রয় নিয়ে পরীক্ষকের চোখ কখনই ফাকি দেয়া সম্ভব নয়। কারণ, জাতীয় পর্যায়ের বাছাইকরণে জড়িত প্রত্যেকেই অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং দূরদর্শী।
মনে রাখবেন, বাংলাদেশ স্কাউটস কখনই পিএস প্রার্থীদের সংখ্যার উপর গুরুত্ব দেয় না। বরং, একটি মান বজায় রাখে। আন্তর্জাতিক ভাবে এই পদ্ধতিটির নাম SOS বা Standard Orientation Selection. পদ্ধতিটিতে কথিত আছে যে, “Quality should be ensured than the quantity” অর্থাৎ সংখ্যার আধিক্যকে এই পদ্ধতিতে বিবেচনা করা হয় না, মানসম্মত নির্বাচনই এই পদ্ধতিতে বিবেচ্য। আপনার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকতে হবে আপনি যেন আপনার বিশ্বাস আপনার আত্মমর্যাদার উপর স্থির রাখতে পারেন। যেন পরীক্ষক আপনার গুণাবলী খুজে সৎ এবং সঠিক পদ্ধতিতেই খুজে নিতে পারেন। কখনই অনাকাঙ্ক্ষিত উপায়ে পরীক্ষকের কাছে আকর্ষনীয় হতে যাওয়া কারও কাছেই কাম্য নয়।
“শেষ ভাল যার, সব ভাল তার” – এই কথা কে শুনিনি! বাংলা ব্যকরণের বই থেকে শুরু করে, দৌড় প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ অবস্থান পেয়েও আপনি অক্ষত থাকায় আম্মু-আব্বুর স্বস্তিতে; অনেক জায়গায়ই! এটিও ছিল আমাদের শিক্ষার একটি বড় অংশ। যার ফল হয়তো আমরা আজীবন ভোগ করতে পারবো। পিএস ভাইভার ক্ষেত্রেও কথাটি মাথায় রাখতে বলবো আমি। ভাইভা যেমনই হোক, ভাইভা শেষে সালাম এবং হাসজ্জলমুখে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ভুলবেন না।
পরিশেষে এতটুকুই বলবো, মনে রাখবে ব্যাডেন পাওয়েল বলেছিলেন “A Scout is never taken by surprise; he knows exactly what to do when anything unexpected happens.” কাজেই, যেকোন পরিস্থিতিতে উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। আপনাদের অভিধান থেকে “হতাশা” শব্দটি মুছে ফেলুন, সামনের দিনগুলোর জন্য শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি নিন। আপনারা সকল ধাপ সফলতার সাথে অতিক্রম করে কাঙ্খিত অর্জন ছিনিয়ে আনবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আজ আর দীর্ঘ করছি না। আবারো কোনদিন কোন প্রসঙ্গে লিখবো। সেই পর্যন্ত ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। নিরন্তর শুভকামনা রইল, দেখা হবে বিজয়ে!
– এস এম সাকিব রহমান খান, সিনিয়ার রোভার মেট, ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস
অন্যরকম অনুভূতি…
সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। বিজয় সারনি সিগনাল এ রাস্তা পারাপারের জন্য দাড়িয়ে ছিলাম। পরনে ছিল স্কাউট ইউনিফর্ম। হঠাৎ কেউ একজন আমার মাথার উপর ছাতাটা ধরলো। দেখলাম উনি আমার বাবার বয়সী। এখন ছাতার নিচে আমি আর উনি। সালাম দিয়ে বললাম “আঙ্কেল আমার দরকার নেই আপনি ভিজে যাচ্ছেন। আঙ্কেল বললেন কোনো সমস্যা নেই বাবা, তোমরা যেভাবে কষ্ট করে দিন রাত ট্রাফিক পুলিশদের সহায়তা করছো এইটা তো তোমাদের প্রাপ্য।”
কিছু কিছু মুহুর্ত আসলেই ভুলবার মতো না। সেই রকমই একটা মুহুর্ত হলো গত ১২-০৮-১৮ তারিখ। সেইদিন ট্রাফিক পুলিশদের সহায়তা প্রদানের জন্য রোভার স্কাউট হিসাবে আমিও ছিলাম। এই প্রাপ্তি আমার একার না! এই প্রাপ্তি সারা বাংলাদেশের রোভার স্কাউটদের। এই প্রাপ্তি যারা ট্রাফিক সপ্তাহ পালনের লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশদের পাশাপাশি সহায়তাদানকারী সকল রোভার স্কাউট তাদের।
যেইসব প্রাপ্তিগুলো থাকবে চিরকাল রোভার স্কাউটদের সাথে। যাদের কারনে আমি এই সুন্দর মুহুর্তের সাক্ষী হতে পেরেছি তাদের ধন্যবাদ না দিলে ছোট করা হবে। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস এবং বাংলাদেশ স্কাউটস।
(বিঃদ্রঃ রাস্তা পারাপারের পর আঙ্কেলকে সালাম আর ধন্যবাদ দিতে ভুল করিনি)
#RoadSafety_BdScouts
– ইমরান তুষার, প্রাক্তন সিনিওর রোভার মেট, ক্রিস্টাল ওপেন স্কাউটস
সূত্র: বাংলাদেশ স্কাউটস এর ইনবক্স (ডিজিটাল আপডেট) আগস্ট, ২০১৮